ব্রেকিং:
‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায় ফজরের ঠিক পরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন—ফজরের পর ইন্তেকাল করেছেন বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর বেঁচে নেই...

মঙ্গলবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৫ ১৪৩২   ১০ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৫৫

পঞ্চগড়ে রাতের আধারে বনবিভাগের নার্সারিতে আগাছা নাশক স্প্রে 

মোঃ রাশেদুল ইসলাম,পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৩  

পঞ্চগড়ে'র তেঁতুলিয়া উপজেলায় বন বিভাগের করা নার্সারিতে আগাছা নাশক স্প্রে করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ত্রিশ হাজার চারা গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সমগ্র উপজেলায়। খোভ প্রকাশ করেছে পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠনগুলো। সোমবার(১২-জুন) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় তেঁতুলিয়া বিটের আওতায় বালাবাড়ি মৌজার বন বিভাগের গেজেট ভূক্ত জমির পূর্বের পরিপক্ব গাছগুলো ইতিমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। পুনরায় নার্সারি করে চারাগাছ উৎপাদন করে পর্যায়ক্রমে রোপণ করা হচ্ছে। কিন্তু নতুন করে রোপণের জন্য নার্সারি করা ত্রিশ হাজার চারাগাছ যে জায়গায় গোপন করা হয়েছে সেখানে জৈনিক ব্যক্তি এরি মধ্যে আম বাগান করেছে। স্থানীয় ব্যক্তি মোঃ মোহাম্মদ আলী ও তার ছেলে ঐ বাগান দেখাশোনা করে। এবং তারা বন বিভাগের জায়গায় বাদাম, মরিচ, পাট, বেগুন সহ নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করছে। সমস্ত আম বাগানে হাফিজুর রহমান আগাছা নাশক স্প্রে করেছে। দেখা গেছে আগাছা নাশক স্প্রের কারনে বাগানের আগাছা পরিষ্কার হয়েছে। এতে আম বাগান ঠিকঠাক রয়েছে। বন বিভাগের করা নার্সারির মাঝখানে ৩টি এবং চারপাশে প্রায় ৭/৮ টি আমগাছ রয়েছে। নার্সারির চারাগুলো নষ্ট হলেও এই আমগাছের চারাগুলোতে আগাছা নাশকের ছিটেফোঁটাও পরে নি। স্থানীয়রা জানায়, আম বাগান যারা করেছে তারাই নার্সারিতে আগাছা নাশক স্প্রে করেছে। কেননা এই চারাগুলো এখানেই রোপণ করা হতো। আর এই চারা এখানে রোপণ করা হলে আম বাগান যে করেছে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার হাফিজুর এই জমি চাষাবাদ করে। বন বিভাগ বাগান করলে সে আর চাষাবাদ করতে পারবে না । তাছাড়া হাফিজুর রহমান আগাছা নাশক স্প্রের কথা প্রায় স্বীকার করেছেন। তাই নিরপরাধ ব্যক্তিকে না জরিয়ে দিয়ে যারা অবৈধ ভাবে বন বিভাগের জমি দখলের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে সব তথ্য বেড়িয়ে আসবে বোলে জানান স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তেঁতুলিয়া বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ শহিদুর রহমান বলেন, চলতি মাসে চারা গাছগুলো রোপণ করার কথা ছিল। আমি ইতিমধ্যে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। খুব শীঘ্রই প্রকৃত দোষীরা আইনের আওতায় আসবে বোলে আমরা আশাবাদী।

এই বিভাগের আরো খবর